
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে গতবারের মত এবারও মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা। বেশিরভাগ জেলাতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে মুসল্লিদের । করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ঈদ পালনের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
করোনার বিধিনিষেধে বন্ধ চিড়িয়াখানাসহ নগরীর বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্র। তবে সাধারণ মানুষ, শিশু-কিশোরেরা ঘর থেকে বের হয়েছে। রাস্তাঘাটে মানুষ যে যার মতো করে ঘুরছেন।
চট্টগ্রাম নগরীতে সকালে অঝোড় ধারায় বৃষ্টি পড়লেও বৃষ্টি থামার পরে বসে নেই কেউ । যে যার মত করে পরিবার পরিজন নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন বেড়াতে । বাহন কারো রিক্সা, কারো সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, কারো বাস, কারো কারো দুই পা। বাহন হিসেবে বাদ যায়নি ঘোড়ার গাড়িও ।
ঈদুল ফিতর মুসলিমদের জীবনে অশেষ তাৎপর্য ও মহিমায় অনন্য। একমাস রোজা পালনের পর এক ফালি উদিত চাঁদ নিয়ে আসে পরম আনন্দ ও খুশির বার্তা । এই খুশিই যেন সারাবছর থাকে মানুষের মনে এটাই চাওয়া বেড়াতে আসা জনাসাধারণের। মানুষ আর আগের মতো করোনা নিয়ে আতঙ্কিত নয়। মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তাই দেখা যায়নি অনেকের মুখে মাস্ক।
এভাবে স্বাস্থবিধি মেনে না চললে ঈদের পরে দেখা যেতে পারে করোনা বিপর্যয় এমনটিই মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।
করোনা অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর এবারও রমজান মাসের শুরু থেকে দেশজুড়ে দেখা দেয় উদ্বেগ। সংক্রমণ আর প্রাণহানির সংখ্যা ওপরে উঠতে থাকায় সরকার আবারও গত বছরের মতো লকডাউন ঘোষণা করে। এপ্রিলের মাঝামাঝি লকডাউন শুরু হয়। রোজার শেষ পর্যায়ে ঈদের কেনাকাটার জন্য স্বাস্থ্যবিধি আর নিয়মকানুন মেনে বিপণিবিতান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে বিপণিবিতানে ঈদের উপচানো আনন্দের সেই ভিড় আর ব্যস্ততার দৃশ্য আর ফিরে আসেনি। এবারের ঈদে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে অগণিত মানুষ এই কাতর মিনতিই করবে, পৃথিবী থেকে চিরতরে এই অতিমারির অবসান হোক। পৃথিবীতে আবার ফিরে আসুক মানুষের কোলাহলমুখর সজীব জীবনযাত্রা। উৎসবের চিরচেনা পরিবেশ হয়ে উঠুক মানুষের সঙ্গে মানুষের মিলনের অনুপম এক ছবি।