
উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশংকায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে চট্টগ্রামেও।
বছরের এই সময়ে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড়গুলোর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি থাকে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। লঘুচাপটি ক্রমান্বয়ে নিম্নচাপ হয়ে আগামী ২৩ মে’র মধ্যে এটি সামুদ্রিক ঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এটির নাম হবে ‘যশ’। আগামী ২৫-২৬ মে’র দিকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।
এদিকে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে সৃষ্ট গরম কাটতে আরও কয়েকদিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের আবহাওয়াবিদরা। চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার স্থানীয় পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে সাময়িকভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
সে সাথে দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা কিংবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পশ্চিম-দক্ষিণ, পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১২-১৫ কি.মি. বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। যা অস্থায়ীভাবে দমকা কিংবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৩০-৪০ কি.মি. বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।
এদিকে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের এ নামটি ওমানের দেওয়া। ‘যশ’ শব্দটি এসেছে পার্সিয়ান ভাষা থেকে। ইংরেজিতে যেটিকে জেসমিন বলা হয়। ভারতের আলিপুর আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২৩-২৫ মের মধ্যে বঙ্গোপসাগের উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়।
ভারতের আবহাওয়া অফিস (আইএমডি) ও ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র জানিয়েছে, উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে আগামী ২২ মের দিকে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আগামী ২৪ মের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আর আগামী ২৬ মের দিকে এটি উত্তর পশ্চিম ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছাবে। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু তথা বর্ষা দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটি শক্তিশালী রূপ নেবে আগামী ২১ থেকে ২৪ মের মধ্যে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলে আগামী ২৫ মে বিকেল থেকে ২৬ মে পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার।
Discussion about this post