রুশ বাহিনীর হাত থেকে একের পর এক শহরের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে ইউক্রেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২০টির বেশি শহরের দখল ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাতে চলে গেছে বলে দাবি করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ অব আর্মড ফোর্সেস জানিয়েছে, তারা পূর্বাঞ্চলে রুশ বাহিনীর ওপর পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২০টির বেশি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। খবর আল জাজিরার।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে সর্বশেষ আপডেট এক পোস্টে অভিযানের বিষয়ে বলা হয়েছে, যেসব শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে সেখানে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে কাজ করছে তারা। কিয়েভের দাবি, চলতি মাসে দেশের পূর্বাঞ্চলের তিন হাজার বর্গ কিলোমিটারের বেশি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
এদিকে ইউক্রেনের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগে ওই অঞ্চলে রাশিয়ার অগ্রগতি থামাতে পাল্টা হামলা শুরু করে কিয়েভ।
ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ নিয়মিত আপডেটে জানিয়েছেন, ক্রামতোর্স্ক ও ডিনিপ্রোসহ ৩০টির বেশি জনবসতি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমান হামলার শিকার হয়েছে। তাছাড়া খারকিভ ও ক্রেমেনচুকের অন্তত দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে।
৬ মাসের বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। সম্প্রতি খারকিভে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেনের সেনারা। কিয়েভের দাবি, রুশ সেনারা পিছু হটছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইউক্রেন। দেশটির উত্তর-পূর্বে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বেড়াজালকে ভেঙে ফেলেছে তারা।
১১ সেপ্টেম্বর সকালে ইউক্রেনের সামরিক প্রধান ভ্যালেরি জালুঝনি ঘোষণা করেন যে, দেশটির সেনাবাহিনী ১১ দিনে তিন হাজার বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে। ওই এলাকা গত এপ্রিল থেকে রাশিয়া দখল করে রেখেছিল। অন্য একটি পরিসংখ্যান বলছে, ৯ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা পুনরায় নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে ইউক্রেন, যেটি প্রায় সাইপ্রাসের আয়তনের সমান।
রুশ সেনারা আতঙ্কিত এবং পিছু হটছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। একই সঙ্গে ব্যাপক হারে সামরিক সরঞ্জাম পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। সম্প্রতি এমন খবরও ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার স্বীকার করেছে যে, তারা ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বের ইজিয়ম শহরে তাদের প্রধান ঘাঁটি এবং প্রতিবেশী বালাক্লিয়া শহর পরিত্যাগ করেছে রুশ সেনারা।