
বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রাম ডবলমুরিং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসীনের বদলীতে হতাশ হয়েছেন চট্টগ্রামবাসী।
তিনি এমনই একজন চৌকস অফিসার, যিনি ডবলমুরিং মডেল থানায় যোগদানের পর আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে অগ্রনায়ক হিসেবে কাজ করেছেন। উল্লেখ্য, জনসংখ্যা এবং অবস্থানগত দিক দিয়ে চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ থানা হিসেবে পরিচিত ডবল মুরিং মডেল থানা।
ওসি মহসীন যোগদানের প্রায় ৮ মাসের মধ্যেই পাল্টে দিয়েছেন ডবল মুরিংমডেল থানার চিত্র। শান্তির জনপদ হিসেবে ডবল মুরিং মডেল থানাকে গড়তে চ্যালেঞ্জ নিয়ে সর্বদা তিনি কাজ করে যাচ্ছেন৷ ডবল মুরিং থানাধীন এলাকার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে ওসি মহসীনের ভূমিকা সর্বস্তরেই প্রশংসনীয়।
এমনই একজন চৌকস অফিসার চট্টগ্রাম থেকে অল্প সময়ে বদলী হয়ে যাবে বিষয়টি মেনে নিতে পারছেনা চট্টগ্রামবাসী। চট্টগ্রাম ডবলমুরিং থানাধীন বিগত সময় সন্ত্রাস ও মাদকের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত ছিলো, এলাকাবাসীর কাছে। ক্রাইম জোনের হটস্পট বলা হতো এই থানাকে।
কিন্ত অকল্পনীয় হলেও সত্য যে, খুব অল্প সময়ের মধ্যে ওসি মহসীনের নিরলস পরিশ্রম এবং বলিষ্ট নেতৃত্বে ডবলমুরিং মডেল থানা একটি শান্তিপ্রিয় থানা হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে।
ইতিমধ্যেই তিনি পুলিশের চৌকস ও সাহসী অফিসার হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন এবং চট্টগ্রামবাসীর খুব আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, করোনাকালীন সময়ে ওসির সার্বিক সহযোগিতায় ডবল মুরিং থানাধীন কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষকে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। তিনি করোনা সংক্রমনের ক্রান্তি লগ্নে করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখার জনসচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ থেকে শুরু করে, অসহায়দের মাঝে ত্রানসামগ্রী বিতরনেও বিশেষ ভূমিকায় ছিলেন।
শুধু তাই নয়, তিনি যোগদানের পর থেকে থানা এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড দিন দিন কমে আসতে শুরু করেছে। ওসি মহসীন ডবলমুরিং থানায় আসার পূর্বে দালালদের আনাগোনা ছিল লক্ষনীয় । আগের তুলনায় থানা এখন দালালমুক্ত।
অপরাধী যেই হোকনা কেন, কোন ছাড় নেই। অপরাধীরা যেন, অপরাধ করে পার না পায় এবং অপরাধীকে দ্রুত সনাক্ত করার জন্য ডবলমুরিং থানাধীন সকল এলাকাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছেন ওসি মহসীন । মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ, অনলাইন প্রতারদের কাছে ওসি মহসীন এক আতংকের নাম।
তিনি সর্বদাই মনে করেন পুলিশ জনগনের বন্ধু। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে জনগনের সেবক হিসেবে তিনি কাজ করে চলেছেন। ওসি মহসীন সর্বদাই বলেন, থানা হোক সাধারণ মানুষের সেবার শেষ আশ্রয়স্থল।
এছাড়াও তিনি কমিউনিটি বিট পুলিশিং এবং এলাকায় এলাকায় উঠোন বৈঠকের মাধ্যমে, যুব সমাজকে উদ্ধুদ্ধ করার মাধ্যমে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি গঠন করার ঘোষণা ও দিয়েছেন। ফলে ডবলমুরিং থানা এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা একটু নড়েচড়ে বসতে শুরু করেছে।
একই সাথে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাস্তানরাও কেউ এলাকা ছাড়া, না হয় কেউ জেলখানার বাসিন্দা হচ্ছে ওসি মহসীনের কারণে। তার ভয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের সেই অবৈধ পেশা ছেড়ে ফিরে আসতে শুরু করেছে স্বাভাবিক জীবনে।
সাধারণ মানুষের বক্তব্য : এত অল্প সময়ে উনার বদলী হবে শুনে খুব হতাশ হয়েছি। ওসি মহসীননের কারণেই আজ আমরা সন্ত্রাস-মাদকমুক্ত।
এ ব্যাপারে ওসি মহসীন একটি উঠান বৈঠকে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং তারই সুযোগ্য কন্যা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতী অনুযায়ী শান্তিময় সুশৃংখল বাংলাদেশ গড়তে পুলিশকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
পুলিশই জনতা-জনতাই পুলিশ, এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আমার ডবলমুরিং মডেল থানা পুলিশ ভাল কাজ করে যাবে আমি সেটাই আশাবাদী।