ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এবং পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে গত তিনদিন ধরে সাগর উত্তাল থাকায় ঢেউয়ের তোড়ে ভেঙে গেছে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের একমাত্র জেটি। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় ধসে পড়েছে জরাজীর্ণ জেটির বিভিন্ন অংশ।
এছাড়াও ফাটল দেখা দিয়েছে জেটির একাধিক স্থানে।
শুধু জেটি নয়, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সাগরের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকফুট উচ্চতায় উপকূলে আছড়ে পড়ায় দ্বীপের দুটি আবাসিক হোটেল, পুলিশের গেস্ট হাউসসহ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙনের মুখে পড়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি বিবেচনা করে দ্বীপের ছয় হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা দুটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও ২৩টি বহুতল আবাসিক হোটেল প্রস্তত রেখেছিলাম। আল্লাহর রহমতে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানেনি। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দ্বীপের একমাত্র জেটি খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া দ্বীপের চারপাশে ভাঙন রোধে জরুরিভাবে ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই এই দ্বীপ সাগরে বিলীন হয়ে যাবে।
টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, এ জেটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার অস্বাভাবিক জোয়ারের ঢেউয়ের কারণে ধসে পড়ছে। জেটি বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে।