
২০২২ সালের ২০ মে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে একযোগে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি শুরু হয়। গত ১৯ নভেম্বর তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হয়। আগামী সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম জেলায় ভোট দেবেন তিন লাখ নতুন ভোটার। যাদের নাম এরই মধ্যে ভোটার তালিকায় যুক্ত করার সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনের খসড়া ভোটার তালিকায় বয়স ১৮ বছরের উর্ধ্বে বিবেচনায় এসব নতুন ভোটারের নাম রয়েছে। চট্টগ্রামে বর্তমান ভোটার রয়েছে ৫৮ লাখ ৮২ হাজার ৯৮ জন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নতুন হালনাগাদ কার্যক্রমে চট্টগ্রামে পাঁচ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫৬ জন নিবন্ধন ভোটার নিবন্ধন করেন। এরমধ্যে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে নতুন ভোটার হচ্ছেন তিন লাখ ১৪ হাজার ২৩৫ জন। ১৮ বছরের নিচে নিবন্ধন করেছেন দুই লাখ ৩৪ হাজার ১২১ জন। এছাড়া মারা যাওয়ার কারণে ৬০ হাজার ৭৪৮ জনের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ২০ হাজার ৭১১ জন ভোটার নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী অন্য জেলায় স্থানান্তরিত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হালনাগাদ কার্যক্রমে ১৮ বছর বয়সী ছাড়াও ১৬ ও ১৭ বছর বয়সী নাগরিকদেরও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ১৮ বছর পূর্ণ হলেই তাদের ভোটার হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
নতুন তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তালিকায় সবচেয়ে বেশি ২৯ হাজার ৬৫১ জন ভোটার হয়েছে ফটিকছড়ি উপজেলায়। এরপর সাতকানিয়া উপজেলায় ২৭ হাজার ১০ জন। মিরসরাই উপজেলায় ২২ হাজার ৭১১ জন ও বাঁশখালীতে ২২ হাজার ৬১৫ জন। কম ভোটার হয়েছে চন্দনাইশ ও কর্ণফুলী উপজেলায়।
খসড়া তালিকা অনুযায়ী নগরীর পাঁচলাইশে নতুন ভোটার হয়েছেন ১০ হাজার ৩৩০ জন। চান্দগাঁও এলাকায় নতুন ভোটার হয়েছেন ১৬ হাজার ৫১৮ জন। কোতোয়ালীতে ১০ হাজার ৫৮৬ জন, ডবলমুরিং এলাকায় ১২ হাজার ২৪ জন, পাহাড়তলীতে ৯ হাজার ৩১০ জন, বন্দর এলাকায় সাত হাজার ৬৩৭ জন নতুন ভোটার হয়েছে।
অন্যদিকে জেলার মিরসরাই উপজেলায় নতুন ভোটার হয়েছেন ২২ হাজার ৭১১ জন। সীতাকুণ্ড উপজেলায় ১৫ হাজার ৩২৫ জন, সন্দ্বীপে ৯ হাজার ৪৫৮ জন, হাটহাজারীতে ১৮ হাজার ৪২৬ জন, রাউজানে ৮ হাজার ১৬৩ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ২০ হাজার ৪৩৩ জন, বোয়ালখালীতে ১০ হাজার ৪৭৯ জন, পটিয়ায় ১০ হাজার ৩৫৪ জন, কর্ণফুলীতে হাজার ২৮৫ জন, আনোয়ারায় ২০ হাজার ৫৭ জন, চন্দনাইশে সাত হাজার ৯০৬ জন এবং লোহাগাড়ায় নতুন ভোটার হয়েছেন ১৭ হাজার ৯৫৭ জন।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামরুল আলম বলেন, হালনাগাদের খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এ পর্যায়ে খসড়া তালিকার ভুল-ত্রুটি ও অসঙ্গতি সংশোধনের কার্যক্রম চলছে। এরপর ২ মার্চ ভোটার দিবসে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে। নতুন ভোটাররা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন।