
চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিংয়ে ডাকাতদের একটি গোপন আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণের অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা গুলি থানা থেকে লুট করা বলে ধারণা করছে পুলিশ।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে ডবলমুরিংয়ের ঝর্নাপাড়া ডেবার পাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ পরিত্যক্ত অবস্থায় এসব অস্ত্র জব্দ করে।
জব্দকৃত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে—১৬ রাউন্ড সেভেন পয়েন্ট সিক্স টু চায়না রাইফেলের গুলি, ১ রাউন্ড কার্তুজ, ১টি কিরিচ, ১টি টিপ ছোরা, ১টি ট্রিবিল ছুরি, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি হাতুড়ি এবং ১টি বিদেশি মদের খালি বোতল।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, এসব অস্ত্র ডাকাতি বা সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহৃত হতে পারে।
জানা গেছে, সি’এম’পি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশক্রমে চালানো হয় বিশেষ অভিযান, অভিযান চলাকালীন সময় উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূইয়া এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায়, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) মোঃ মাসুদ রানা ও ডবলমুরিং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মোঃ রফিক আহমেদ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফ ফয়সল এর নেতৃত্বে ডবলমুরিং মডেল থানার একটি আভিযানিক টিম এসআই/আহলাদ ইবনে জামিল, পিপিএম, এসআই/নজরুল ইসলাম, এএসআই/কাজী সাইফুল ইসলাম, এএসআই/আহসানুল করিম, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ডবলমুরিংয়ে ঝর্নাপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আস্তানা থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিশেষ অভিযান এখনও চলমান রয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিতে তদন্ত চলছে।
থানা সূত্র জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া গুলিগুলো প্রশাসনিক ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত, যা হয়তো কোনো থানা বা নিরাপত্তা সংস্থার কাছ থেকে লুট করা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সন্ত্রাসীরা এসব অস্ত্র দিয়ে বড় ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছিল।
পুলিশের একাধিক টিম এখনও এলাকায় টহল দিচ্ছে এবং অভিযান চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে তৎপর রয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
Discussion about this post