
একে তো ইনজুরি জর্জরিত, তার ওপর ২০২৩ সালের শুরুটা মোটেও ভালো হলো না পিএসজির। নতুন বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মাত্র দুটি ম্যাচে জয় পেয়েছে প্যরিসের জায়ান্টরা। বিপরীতে একের পর এক ম্যাচে পরাজিত হচ্ছে তারা। সর্বশেষ শনিবার রাতে এএস মোনাকোর কাছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করতে হয়েছে তাদেরকে।
আগের ম্যাচেও হেরেছে পিএসজি। ফ্রেঞ্চ লিগ কাপের শেষ ষোলোর ওই ম্যাচে পিএসজির হয়ে খেলেছিলেন মেসি-নেইমার দু’জনই। তবুও মার্সেইয়ের কাছে ২-১ গোলে হারতে হয়েছে পিএসজিকে।
বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হবে প্যারিসের ক্লাবটি। কিন্তু তার আগেই মোনাকোর কাছে ৩-১ গোলে হার বড় ধরনের এক ধাক্কাই বটে পিএসজির জন্য।
ইনজুরির কারণে ছিলেন লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপে এবং মার্কো ভেরাত্তি। তবে, পিএসজির ডিফেন্স নিয়ে বেশ চিন্তা সমর্থকদের। কারণ, ডিফেন্সের দুর্বলতার কারণেই একের পর এক গোল হজম করতে হচ্ছে দলটিকে এবং পরাজয় বরণ করে নিতে হচ্ছে। মোনাকোর আক্রমণের মুখে যেভাবে বালির বাধের মত ভেঙে পড়েছে পিএসজির প্রতিরোধ, তাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্নের বিপক্ষে কী করবে সেটাই এখন বড় প্রশ্নের বিষয়।
পিএসজিকে হারিয়ে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে কিছুক্ষণের জন্য দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিলো মোনাকো। কিন্তু শনিবার রাতেই ক্লারমন্তকে হারিয়ে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে আবারও দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে মার্সেই, মোনাকো নেমে যায় তৃতীয় স্থানে। হেরেও ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে পিএসজি।
নিজেদের মাঠে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই মোনাকোকে এগিয়ে দেন আলেকজান্ডার গলোভিন। দলটির অধিনায়ক উইসাম বেন ইয়েদের তিনজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলের সুযোগটি তৈরি করে দেন।
এরপর নিজেই দুটি গোল করেন বেন ইয়েদের। দুটিই প্রথমার্ধে। ম্যাচের ১৮ মিনিটে মোনাকোকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন বেন ইয়েদের। এরপর প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার খানিক আগ মুহূর্তে, ৪৫+২ মিনিটে দলের হয়ে তৃতীয় এবং নিজের দ্বিতীয় গোল করেন বেন ইয়েদের।
এর আগেই একটি গোল পরিশোধ করেছিলেন পিএসজির ওয়ারেন জায়ের এমেরি। ৩৯তম মিনিটে গোল করে তিনি ২-১ ব্যবধান করেন। শেষ মুহূর্তে বেন ইয়েদেরের ওই গোলের কারণে প্রথমার্ধেই ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মোনাকো। দ্বিতীয়ার্ধে তারা আর কোনো গোল করতে সক্ষম হয়নি। পিএসজিও পারেনি আর কোনো বল মোনাকোর জালে জড়াতে। যার ফলে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ শেষ হলো ৩-১ ব্যবধানে।