
মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংকে চুরির চেষ্টা এবং একই ভবনের বাংলাদেশ সাপ্লাইয়ার্স নামক অফিসের ২৭,৫০,০০০ টাকা চুরির ঘটনায় ২ টি চাপাতি, ১টি রেঞ্জ,ঘটনায় ব্যবহৃত সিএনজি ও নগদ ২৭,০৫,০০০ টাকা সহ ৩ জন গ্রেফতার
জনাব কাইজার আবুওয়ালা বাংলাদেশ সাপ্লাইয়ার্স নামীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক।
তিনি প্রতিদিনের ন্যায় ১৮ মে সন্ধ্যা অনুমান ৭ টায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৪র্থ তলার অফিসের দরজা তালাবন্ধ করে বাসায় চলে যান। পরবর্তীতে ১৯ মে সকাল অনুমান ১০ টা ৩০ মিনিটে মোবাইল ফোনে জানতে পারেন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তথা আমাফা সেন্টার বিল্ডিংয়ের ৩য় তলায় অবস্থিত মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, জুবলী রোড শাখার জানালার গ্রীল কেটে ভিতরে চোর ঢুকেছে। তিনি সংবাদ পেয়ে ১৯ মে সকাল অনুমান ১১ টায় আমাফা সেন্টার নামক বিল্ডিংয়ের ৩য় তলায় অবস্থিত মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, জুবলী রোড শাখার ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন যে, উক্ত ব্যাংকের দক্ষিণ পার্শ্বে জানালার লোহার গ্রীল কাটা।
ব্যাংকের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান যে, ব্যাংকের মধ্যে চোর ঢুকলেও কোন মালামাল বা টাকা পয়সা নিয়ে যায় নাই। তারপর তিনি কোতোয়ালী থানাধীন ২১৪ জুবলী রোডস্থ আমাফা সেন্টারের ৪র্থ তলার বাংলাদেশ সাপ্লাইয়ার্স অফিসের ভিতর প্রবেশ করে দেখতে পান যে,
অফিসের ২টি জানালার গ্রীল কাটা এবং অফিস কক্ষের ভিতর রক্ষিত লোহার সিন্ধুক এবং আলমারির ড্রয়ার খোলা অবস্থায় পড়ে আছে। লোহার সিন্ধুকের ড্রয়ারের ভিতর রক্ষিত যাবতীয় মূল্যবান জিনিসপত্র সহ কাগজপত্র মেঝেতে ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় এবং সিন্ধুকের ড্রয়ারে রক্ষিত ব্যবসায়ের প্রায় নগদ ২৭,৫০,০০০ টাকা নাই।
১৮ মে সন্ধ্যা অনুমান ৭ টা হইতে ১৯ মে সকাল অনুমান ৬ টার মধ্যবর্তী যেকোন সময় কোতোয়ালী থানাধীন ২১৪ জুবলী রোডস্থ আমাফা সেন্টার নামীয় বিল্ডিংয়ের ৪র্থ তলার বাংলাদেশ সাপ্লাইয়া অফিস কক্ষের ২টি জানালার গ্রীল কেটে সঙ্গোপনে অফিস গৃহে প্রবেশ করে অজ্ঞাতনামা চোর চক্র নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার বিষয়ে ভবনের মালিক জনাব কাইজার আবুওয়ালা ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে তাদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
ঘটনার বিষয়ে উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক,
বিপিএম, পিপিএম (বার) এর দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোঃ আমিনুল ইসলাম ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম এর তত্ত্বাবধানে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ,
মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন, পিপিএম (বার) এর নেতৃত্বে কোতোয়ালী থানার টিম অভিযান পরিচালনা করে চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সিএনজি ড্রাইভার মাহফুজ (৩০) কে ২১ মে ২৩ টা ৩৫ মিনিটে কোতোয়ালী থানাধীন পুরাতন রেলষ্টেশনস্থ গাউছিয়া সাইকেল মার্টের বিপরীত পাশে গ্রামীণ মাঠের প্রবেশ মুখে রাস্তার উপর হতে গ্রেফতার করে এবং নগদ ৫,০০০ টাকা ও ২টি চাপাতি উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে। ধৃত সিএনজি ড্রাইভার মাহফুজ (৩০) কে জিজ্ঞাসাবাদে সে তার সঙ্গীয় মোঃ মনির হোসেন (৪০) উক্ত চুরির ঘটনা সংঘটন করেছে বলে জানায়।
বিষয়টি উর্ধবতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ধৃত সিএনজি ড্রাইভার মাহফুজের দেওয়া তথ্য মতে আকবরশাহ থানাধীন বিশ্বকলোনী কাচাবাজার টাংকি পাহাড় শান্তিনগর, জি-ব্লকের খুকি বেগমের ঘরে অভিযান পরিচালনা করে মোঃ মনির হোসেন ও খুকি বেগম কে ২২ মে ৩ টা ২৫ মিনিটে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত মোঃ মনির হোসেন কে জিজ্ঞাসাবাদে সে চুরির কথা স্বীকার করে এবং চোরাইকৃত টাকা খুকু মনি প্রঃ খুকি বেগমের নিকট আছে বলে জানায়।
খুকু মনি প্রঃ খুকি বেগমেকে হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় উক্ত চোরাইকৃত টাকা বসতঘরের ভিতরের রুমে সানসিটে রক্ষিত আছে এবং তার দেখানো বসতঘরের সানসিটের উপর হতে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ ভর্তি চোরাইকৃত ২৭,০০,০০০ টাকা ও চোরাইকাজে ব্যবহৃত ১টি রেঞ্জ পেয়ে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে জব্দতালিকা মূলে জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোঃ মনির হোসেন (৪০) কে জিজ্ঞাসাবাদে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষের বাসা বাড়িতে চুরির কথা স্বীকার করে। তার বিরুদ্ধে নগরীর আকবর শাহ ও খুলশী থানায় একাধিক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।