
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় একসঙ্গে আটকের পর পালিয়ে যান পরকীয়া প্রেমিক। তবে বিয়ের দাবিতে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের জুগীকান্দা গ্রামে প্রেমিক জাহিদ মাতব্বরের বাড়িতে ১৮ ঘণ্টা অনশন করেন প্রেমিকা।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্থানীয় মাতব্বররা সালিশের মাধ্যমে মীমাংসার পর ওই নারীকে তার বাড়িতে পাঠিয় দেন বলে জানা গেছে। তবে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে এ মীমাংসা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, ৩২ বছর বয়সী ওই নারীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন তিন সন্তানের জনক জাহিদ মাতব্বর। এক পর্যায়ে তারা পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে পড়েন। ঘরের একটি কক্ষে পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে রাত যাপন করতেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে পরকীয়া প্রেমিক ওই বাড়িতে প্রবেশ করলে স্থানীয়রা টের পেয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে জাহিদ পালিয়ে যান। রাত ২টার দিকে ওই নারী বিয়ের দাবিতে জাহিদের বাড়িতে অবস্থান নেন।
অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অভিযুক্ত জাহিদ মাতব্বরের কাছ থেকে মোট অঙ্কের টাকা নিয়ে স্থানীয় মাতব্বররা মীমাংসা করের। তবে ওই নারী কত টাকা পেয়েছেন তা সঠিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি।
জুগীকান্দা গ্রামের বশির মাতব্বর বলেন, ‘ঘটনাটি নিজেদের মধ্যে হয়েছে। তাই চেয়ারম্যানের নির্দেশে শুক্রবার সন্ধ্যায় মীমাংসা করে দিয়েছি। সালিশে স্থানীয় পিকুল মাতব্বর, গদা মাতব্বর, শাহাদত মাতব্বর ও হেমায়েত মাতব্বর উপস্থিত ছিলেন। এখানে টাকা পয়সার কোনো লেনদেন হয়নি। এমনিতেই ওই নারীকে বুঝিয়ে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাঝারদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো, আফছার মাতব্বর বলেন, ‘শুনেছি প্রতিবেশী বাতাগ্রামের মাতব্বররা গিয়ে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে ঘটনাটি মীমাংসা করে দিয়েছেন। কীভাবে মীমাংসা হয়েছে তা জানি না।’
তবে ঘটনার পর ওই নারী গা ঢাকা দিয়েছেন। তিনি মোবাইল ব্যবহার করেন না। তার বাড়িতে খোঁজ নিয়েও পাওয়া যায়নি।
ওই নারীর পরিবারের সদস্যরা জানেন না তিনি কোথায় আছেন। তবে ঘটনাটি স্থানীয় মাতব্বররা মীমাংসা করে দিয়েছেন বলে তারা জানান।
অভিযোগ অস্বীকার করে জাহিদ মাতব্বর বলেন, ‘আমি ঢাকায় আছি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। ষড়যন্ত্র করে ওই নারী আমার বাড়িতে এসে ওঠে। এরপরও বিষয়টি স্থানীয় মাতব্বররা মীমাংসা করে দিয়েছেন।’
কীভাবে এবং কত টাকার বিনিময়ে মীমাংসা হয়েছে এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য না করে এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। কেউ কোনো অভিযোগও করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।