
চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানাধীন শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়ক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা মূল্যের ৪৬,৭৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী’কে আটক করেছে র্যাব-৭।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) র্যাবের একটি টিম গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি পিকআপ যোগে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য নিয়ে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রাম শহরের দিকে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় র্যাব-৭ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানাধীন শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়ক এলাকার তানিম এন্টারপ্রাইজ নামীয় দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর একটি বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে।
এসময় র্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি পিকআপের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র্যাব সদস্যরা পিকআপটিকে থামানোর সংকেত দিলে পিকআপটি র্যাবের চেকপোস্টের সামনে থামিয়ে চালক ও হেলপার গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে চালক আসামী আবু ছিদ্দিক (২৯) এবং মোঃ বেলাল উদ্দিন ( ২০) কে আটক করেন।
উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেখানোমতে পিকআপে থাকা প্লাস্টিকের ক্যারেটের মধ্যে ট্রাভেল ব্যাগের ভিতর সুরক্ষিত অবস্থায় ৪৬,৭৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করে এবং উক্ত পিকআপটি (চট্ট মেট্রো-ন-১১-৬৬৬৩) জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আবু ছিদ্দিক হলেন মৃত কবির আহাম্মদের ছেলে। তার বাড়ি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার বাহারছড়া গ্রামে এবং মোঃ বেলাল উদ্দিন হলেন মোঃ জমির আহাম্মদের ছেলে। তার বাড়ি কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার বাইলাখালী গ্রামে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, তারা দীর্ঘ দিন যাবৎ কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে বিভিন্ন কৌশলে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট পাচার করে আসছে।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা এবং পিকআপের আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Discussion about this post