
৭০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হওয়া প্রতারক চক্রের মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। আজ ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় জাহাঙ্গীর আলম নামে এ প্রতারককে গ্রফতার করা হয়।
জানা যায়, প্রতারক চক্রের মূল হোতা জাহাঙ্গীর আলম পূর্বের ব্যবসা “সিমেক্স কার্গো সার্ভিস” প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত করে “সিমেক্স কার্গো সার্ভিস লিঃ” নামকরণ করে ব্যবসা পরিচালনার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর হতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিবহনের মাধ্যমে তার নতুন ব্যবসায় যৌথভাবে বিনিয়োগ করলে লাভবান হওয়ার প্রস্তাবে কাজী ২০২১ সালে দ্বীন মোহাম্মদ নামের এক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের সাথে ব্যবসা শুরু করে । সব কাগজপত্র দেখে দ্বীন মোহাম্মদ ৭০ লক্ষ টাকা দুই দফায় প্রতারক জাহাঙ্গিরকে প্রদান করে।
দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও সি পি বাংলাদেশ কোম্পানী লিঃ হতে বিলের টাকা না পাওয়ায় জাহাঙ্গীর আলমকে তাগিদ দেওয়া সত্বেও কালক্ষেপণ করতে থাকে প্রতারক জাহাঙ্গীর। এর প্রেক্ষিতে আসামীর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বাংলাদেশ কোম্পানী লিঃ এর বরাবরে পত্র প্রেরণের মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে সি পি বাংলাদেশ কোম্পানী লিঃ কর্তৃপক্ষ জানায় জাহাঙ্গীর আলম সিমেক্স কার্গো সার্ভিস লিঃ এর কোন কাগজপত্র, মেমোরেন্ডাম, পরিবহন বিলের কপি, ব্যবসা পরিচালনার অনুরোধপত্র, নতুন ব্যাংক একাউন্ট সংক্রান্ত কাগজপত্র সি পি বাংলাদেশ কোম্পানী লিঃ এর বরাবরে জমা প্রদান করে নি। আসামী জাহাঙ্গীর তার পূর্বের সিমেক্স কার্গো সার্ভিস নামের ব্যবসা একক প্রতিষ্ঠানের চালানে পণ্য পরিবহন সহ বিল দাখিল করে বিলের সমুদয় টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছে।
ব্যবসায়ি দ্বীন মোহাম্মদ ডবলমুরিং থানায় ২০২২ সালে একটি প্রতারণ মামলা দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে ডবলমুরিং থানার এসআই জামিল এর নেতৃত্বে প্রতারক জাহাঙ্গিরকে গ্রেফতার করা হয়।
ভুক্তভোগি কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, আমাকে নানা রকম কাগজপত্র দেখিয়ে জাহাঙ্গীর প্রস্তাব দেয় তার সঙ্গে ব্যবসা করার জন্য। তাই আমিও রাজি হই । জাহাঙ্গির শুধু আমার সাথে না আরো অনোকের সাথে প্রতারণা করেছে পরে জেনেছি।
এ ব্যাপারে ডবরমুরিং থানার ওসি (তদন্ত) আজিজুল হক বলেন, ৭০ লক্ষ টাকা প্রতারণা মামলার এক আসামীকে আমরা গ্রেফতার করেছি। আজকেই আসামীকে কোর্টে চালান করেছি।
জাহাঙ্গীরের প্রতারণার শিকার আরেক ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান জাহাঙ্গির গ্রেফতার হয়েছে শুনে আমার ভালো লাগছে আমিও মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এদিকে প্রতারক জাহাঙ্গিরের গ্রেফতারের খবর শুনে তাকে বাচাতে থানায় তৎপরতা শুরু করেছেন অখ্যাত সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক পরিচয়ে এক ভুয়া সাংবাদিক । তিনি এই প্রতিবেদককে জাহাঙ্গির ভালো মানুষ বলে অভিহিত করছিলেন এবং বলছিলেন নিউজের কি দরকার এটাতো কোর্টের বিষয়। প্রতিবেদক তার মোবাইলে ছবি তুলতে গেলে সেই ভুয়া সাংবাদিক পালিয়ে যান।
Discussion about this post