
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কিংবদন্তি জনপ্রিয় কবি ফররুখ আহমদের একশত তিনতম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করলো সুস্থ সাহিত্য-সংস্কৃতি বিকাশে ধারাবাহিক প্রচেষ্টায়রত চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি (সিসিএ)। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবি ফররুখের কবিতা ও গানের পরিবশনায় বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কবির জীবন ও কর্মের উপর বিশ্লেষণ মূলক আলোচনা ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার ( ১০ জুন ) রাত নয়টায় অনলাইন জুম ও ফেইসবুক লাইভে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠান উপভোগ করেছে দেশ-বিদেশের অসংখ্য মানুষ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শিল্পী গোলাম মোস্তফা।
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জনাব আমিরুল ইসলাম। আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে আলোচনা পেশ করেন বর্তমান সময়ের খ্যতিমান্ কবি মোশাররফ হোসেন খান, বিশিষ্ট লেখক ও মাসিক দ্বীন দুনিয়া পত্রিকার সম্পাদক জনাব মোঃ জাফর উল্লাহ, বিশিষ্ট কবি ও গবেষক জনাব মাঈন উদ্দিন জাহেদ ও বিশিষ্ট সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠক জনাব ইবনে ওয়াজেদ। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির সভাপতি জনাব সেলিম জামান।
অতিথিরা বলেন, বাংলাভাষার শ্রেষ্ঠ কবি, জাতীয় রেনেসাঁর কবি ফররুখ আহমদ ছিলেন সবুজ স্বপ্ন জাগানিয়া কবি, মজলুম মানুষের পুনর্জাগরণের কবি। তিনি তার চিন্তাভাবনা ও ব্যক্তিগত জীবনচরিত্রে সারা জীবন এই স্বপ্নই লালন করে গেছেন। কবির উত্তরসুরিদের উচিৎ তার এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আজকে যথাযথ ভুমিকা রাখা।
অতিথিবৃন্দ আরো বলেন, কবি ফররুখ আহমদ বাংলা সাহিত্যের সমালোচনার ধারায় চল্লিশের কবি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন, চল্লিশ দশকের কবিতা গুলিকে মূলত তিনটি ধারায় বিভক্ত করা হয়েছে। যথা সমাজ চেতনা ধারা, সতন্ত্র চেতনার ধারা ও রোমান্টিক চেতনার ধারা।
অন্তত বিস্ময়কর ভাবে আমরা দেখি কবি ফররুখ আহমেদ এই তিনটি ধারাকেই সফল ভাবে ধারন করে আছেন। তারা বলেন, কবি ফররুখের সাহিত্যকর্ম নিয়ে গবেষণার এখনো অনেক কিছু বাকি রয়ে গেছে। কবির সৃষ্টি ও আদর্শকে যদি জীবন্ত রাখতে হয় তাহলে ফররুখের সকল সাহিত্যকর্মের চর্চা করতে হবে এবং তাঁর স্মৃতিময় স্থাপনা গুলোকে সংরক্ষণ করা সময়ের অনিবার্য দাবি। অতিথিরা কবি ফররুখ আহমেদের বাড়ির উপর দিয়ে রেল লাইন স্থাপনের পরিকল্পনাকে বাতিল করার জন্য অনুষ্ঠান থেকে আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে ফররুখ সংগীত পরিবেশন করেন- চট্টলা গানের দলের পরিচালক শিল্পী শোয়াইব বিন হাবিব, সহকারী পরিচালক শিল্পী শাহেদুল করিম, ও চট্টলা গানের দলের সদস্য শিল্পী নুরুল ইসলাম, আবৃত্তি পরিবেশন করেন, বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, ও আবৃত্তিকার আদনান করিম। অনুষ্ঠানের শুরতেই কোরআন তেলোয়াত করে শুনান সিসিএ’র সদস্য ক্বেরাত শিল্পী জনাব রহমতুল্লাহ।
Discussion about this post