
বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন/প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত থেকে জঙ্গি সদস্য তৈরিতে ‘ছায়া সংগঠন’ পরিচালনা করে আসছিলেন মাহমুদ হাসান গুনবি ওরফে হাসান। জঙ্গিবাদ প্রশিক্ষণে গুনবি একজন ‘মানহাজী’ সদস্য ছিলেন।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তার কাজ ছিল মাদরাসাছাত্র ও অন্য ধর্ম থেকে মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করা সদস্যদের ‘মনস্তাত্ত্বিক অনুশোচনা’ জাগ্রত করা।
তিনি বলেন, গত ৫ মে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ঢাকা থেকে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গি আল সাকিব (২০) ও ওসামার মতাদর্শ পরিবর্তন করে আত্মঘাতী পন্থায় উদ্বুদ্ধ করার পেছনে মাহমুদ হাসান গুনবি ওরফে হাসানের বিশেষ ভূমিকা ছিল। তাদের পরিকল্পনা ছিল রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা করা।
খন্দকার আল মঈন বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য আল সাকিব ও ওসামা গ্রেফতারের পর থেকে গত মে মাসের প্রথম দিকে গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান গুনবি। তিনি কুমিল্লা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে গিয়ে দুর্গম এলাকায় আত্মগোপন করেন। জুনের শেষের দিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের কারণে তিনি পুনরায় স্থান পরিবর্তন করে বান্দরবানে অবস্থান নেন। সেখানে ২-৩ দিন অবস্থান করেন। পরবর্তীতে তিনি লক্ষ্মীপুরের চর গজারিয়া ও চর রমিজে ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করে বেশ কয়েকদিন পার করে দেন। এরপর তিনি আবারও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা টের পেয়ে যান এবং স্থানও পরিবর্তন করেন। অতঃপর তিনি উত্তরবঙ্গে আত্মগোপন করেন। সেখান থেকে দেশ ত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার।
এর আগে গত ১৫ জুলাই দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শাহ আলী থানার বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকা থেকে আনসার আল ইসলামের আধ্যাত্মিক নেতা মাহমুদ হাসান গুনবি ওরফে হাসান ওরফে গুনবিকে (৩৬) গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)। এ সময় তার কাছ থেকে উগ্রবাদী বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার গুনবতী গ্রামে।
Discussion about this post