
যৌতুক সামাজিক ব্যাধিতে পরিনত হয়েছে বহু আগেই এ ব্যাধি থেকে পরিত্রাণের জন্য সরকার নানা মুখি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, পরিবর্তন ও পরিশোধন করেছে আইনের নানা দিক। এখন আইনের সুশাসনই যেন এর শেষ ভরসা।
লক্ষ্মিপুর জেলার রামগঞ্জ থানার অন্তর্গত নুনিয়াপাড়ার বাসিন্দা আবুল কাশেমের কন্যা সুরাইয়া আক্তারের সহিত চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার অন্তর্গত লাউতলীর বাসিন্দা রুহুল আমিনের পুত্র কামরুল হাসানের সাহিত ২০২০ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তাদের একটি দেড় বছরের কন্যা সন্তানও রয়েছে। যৌতুকের বিষয়কে কেন্দ্র করে মায়ের কাছ থেকে সন্তান ছিনিয়ে নেওয়া এবং সুরাইয়া আক্তাকে শারিরীক নির্যাতন করে অসুস্থ করেছে কামরুল এমন অভিযোগ কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে।
বিয়ের সময় উপহার হিসেবে কামরুল হাসানকে পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও পাঁচ লক্ষ টাকার আসবাবপত্র দিয়েছে বলে দাবি করে আবুল কাশেম তিনি আরো জানান মেয়ের জামাতাকে( কামরুল হাসান) ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে নগদ দুই-লক্ষ টাকাও দিয়েছেন এর পরও আমার মেয়ের সংসারে অশান্তি নির্যাতনের শেষ নেই।
সুরাইয়া আক্তারের জানান বিয়ের পর আট নয় মাস সুখেই কাটছিলো আমার জীবন, হঠাৎ কামরুলের মাঝে পশুত্ব ভাব চলে আসে আমাকে পাঁচ লক্ষ টাকা এনে দিতে বলে, এত টাকা কেন লাগবে প্রশ্নের জবাবে বলে বিদেশ যাব। আমি হাজার বুঝিয়েও কোন লাভ হয় না আমাকে এক পর্যায়ে মারধর করতে করতে বলে আরেকটা বিয়ে করে টাকা নিয়ে বিদেশ যাব টাকা আমর লাগবেই। আমি মারধর সহ্য করতে না পেরে আমার বোনের বাসায় চলে আসি, কামরুল আমার বোনের বাসায় এসে আমার বোনের কাছ থেকেও যৌতুকের টাকা চায় এবং আমার মেয়েকে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালালে আমি আদালতের দারস্থ হয়ে নারী নির্যাতনের ৩ ধারায় মামলা করতে বাধ্য হই।
এ বিষয়ে কামরুল হাসান জানান এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।