
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরে পবিত্র ঈদুল আযহা। রাজধানীবাসী শেষ সময়ে পশুর হাটে ভিড় করছেন।
ক্রেতারা বলছেন, মাঝারি গরুর দাম একটু কমতে শুরু করেছে। অন্যদিকে গরু বেপারীরা বলছেন, এখনো বড় গরুর ক্রেতারা হাটে আসেনি। আশা করছি বিকেলে আসবে। বেশিরভাগ ক্রেতাই দাম শুনে চলে যাচ্ছেন। ছোট আর মাঝারি গরুর চাহিদা এখনো বেশি।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গাবতলীর পশুরহাট ঘুরে এমনটাই জানা যায়।
সকাল ৯ টার সময় রাজধানীর শ্যামলী থেকে গাবতলীর হাটে এসেছেন রেজাউর রহমান রাসুল। আড়াই ঘণ্টা ঘুরে মাঝারি ধরনের একটি গরু কিনেছেন। রাসুল বলেন, ঈদের আগের দিন গাবতলীর হাটে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে মাঝারি ধরনের একটি গরু কিনেছি। গরু টা কিনতে আড়াই ঘণ্টা হাটে ঘুরছি। দাম একটু কমেছে। আরও কমলে ভালো হতো।
চুয়াডাঙ্গা থেকে ১৩টি গরু নিয়ে গাবতলীর হাটে এসেছেন মন্টু বেপারী। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) হাটে এসে। এখন পর্যন্ত বিক্রি করেছেন ৪টি গরু। তিনি বলেন, ছোট ও মাঝারি গরু বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। আজকে একটু দাম কমেছে। কিন্তু ক্রেতারা ঠিকমতো বড় গরুর দাম বলছে না। গরু আনার খরচ এর সঙ্গে বেড়েছে গরুর খাবারের মূল্য। আমরা বেপারীরা সঠিক দামে গরু বিক্রি করতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্ত হবো।
কাজীপাড়া থেকে হাটে এসেছেন মো. ফায়েজ । দুই ঘণ্টা ঘুরে কিনেছেন মাঝারি ধরনের গরু। তিনি বলেন, আমি গরু কিনেছি ৭০ হাজার টাকা দিয়ে। সকালে হাট ঘুরে মনে হচ্ছে দাম একটু কমেছে। ঈদের বাজার কখন বাড়ে কখন কমে নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না। সকালে ১১টায় বৃষ্টি নেমেছিল। আমার মনে হয় বৃষ্টি না নামলে হাটে আরো ভিড় হতো।