
জনপ্রিয় টেলিভিশন এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ.ই. মামুনের জন্মদিন। শুভ জন্মদিন জ.ই. মামুন। জার্নাল টুয়েন্টিফোরের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা শুভকামনা ।
১৯৬৯ সালের এই দিনে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন মামুন। বাবা গাজী আব্দুল লতিফ ও মা জয়নব বেগমের ছয় সন্তানের মধ্যে তিনি প্রথম।
১৯৮৫ সালে আমতলী এ কে হাই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও ১৯৮৭ সালে কলাপাড়ার এমবি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে ১৯৯৪ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
জ. ই. মামুন ১৯৯১ সালে দৈনিক আজকের কাগজে সাংবাদিকতা শুরু করেন। প্রতিবেদন তৈরি থেকে শুরু করে প্রকাশনার নানা কাজে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে ১৯৯২ সালে দৈনিক ভোরের কাগজে শিক্ষানবিস প্রতিবেদক হিসেবে যোগ দেন। তখন তার ধ্যান-জ্ঞান দুটোই ছিল সংবাদ সংগ্রহ ও উপস্থাপনের মধ্যে। পরে একই প্রতিষ্ঠানে পদন্নতি পেয়ে জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত কাজ করেন। ১৯৯৯ সালে প্রিন্ট মিডিয়া ছেড়ে একুশে টেলিভিশনে যোগ দেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে। ওই সময়ে আমুল পরিবর্তন আসে টেলিভিশন সাংবাদিকতায়, সংবাদে একুশে টেলিভিশন পথ দেখায়- নতুন ধারার। সংবাদের গভীরতা আর উপস্থাপনে ভিন্নতা জ. ই মামুনকে এনে দেয় তারকা খ্যাতি। এই প্রতিষ্ঠানে সর্বশেষ তিনি বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতা করেন। এরপর একুশে টেলিভিশন বন্ধ হয়ে গেলে ২০০৩ সালে এটিএন বাংলায় বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন। একই প্রতিষ্ঠানে তিনি ২০০৪ সালে প্রধান প্রতিবেদক, ২০০৭ সালে প্রধান বার্তা সম্পাদক ও ২০১০ সালে বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে যমুনা টেলিভিশনে তিনি ডিরেক্টর, নিউজ এ্যান্ড প্রোগ্রাম হিসেবে যোগ দেন।
সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য তিনি সাংবাদিকদের মূলধারার সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি থেকে দুইবার সম্মাননা পুরস্কার, পিআইবি পুরস্কারসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন।
জ. ই মামুন বলেন, ‘যোগ্যতার ভিত্তিতে সব প্রতিষ্ঠান পুরস্কার দেয় না। তাই সব পুরস্কার আমি গ্রহণও করি না। আমার কাছে মনে হয়, সাংবাদিকদের মূল পুরস্কার হল পাঠকের স্বীকৃতি। তা আমি পেয়েছি। সাধারণ মানুষ থেকে একাধিক রাষ্ট্রপতির কাছ থেকেও আমি প্রশংসা পেয়েছি। কাজের প্রশংসাই হচ্ছে কাজের পুরস্কার। আমার কাছে ক্রেস্ট বা অর্থমূল্যর তেমন গুরুত্ব নেই।’
পেশাগত কাজে তিনি ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়শিয়া, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, রাশিয়া, সুইডেন, নরওয়ে, আমেরিকাসহ অসংখ্য দেশ ভ্রমণ করেছেন।
জ. ই মামুন বলেন, ‘সাংবাদিকতার বাইরে আমার একমাত্র মেয়ে কুহু কিন্নরীকে নিয়েই ব্যস্ত থাকি। যদিও অবসরে আমি ফটোগ্রাফিকে বেশি প্রাধান্য দেই।’
তিনি জানান, তার পছন্দের রং নীল ও ফুল দোলনচাঁপা। খেতে ভালোবাসেন বাঙালিয়ানায় তৈরি সব সাধারণ খাবার। যেমন ডাল-ভাত-ভর্তা।
জন্মদিনের বিশেষ আয়োজন সম্পর্কে জ. ই মামুন বলেন, ‘এই দিনটিতে আমি কোনো আয়োজন করি না। তবে আমার বন্ধুরা প্রতিবছরই বিভিন্ন আয়োজন করে থাকে। চল্লিশ বছর পূর্তি উপলক্ষেও তারা বিশাল আয়োজন করেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘জন্মদিনের এ দিনটিতে বন্ধুরা মিলে এক সঙ্গে আড্ডা দেই। তবে অফিসের কাজ শেষেই আড্ডা দেই। আর অফিসে সহকর্মীরা প্রতিবছরই কেক কাটার আয়োজন করে থাকে। আর পরিবারের লোকজন বাসায় বিশেষ রান্না করে এ দিনটিতে।’
Discussion about this post