অপরাধ দমনে পুলিশ ও সাংবাদিকদের একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন অতিরিক্ত আইজিপি খুরশিদ হোসেন।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েসন (ক্র্যাব) আয়োজিত সেরা প্রতিবেদনের জন্য শ্রেষ্ঠ রিপোর্টারদের পুরষ্কার বিতরণ, কার্যনির্বাহী কমিটি-২০২১ বরণ উপলক্ষ্যে ‘ক্র্যাব সন্ধ্যা-২০২১’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, কোথাও কোন ঘটনার পর পুলিশের পাশাপাশি সাংবাদিকদের ছোটাছুটি শুরু হয়। ঘটনার পেছনের কারণ বের করতে সাংবাদিকরা অনুসন্ধান করেন।
তাদের প্রচারিত অনেক সংবাদ থেকে আমরা তথ্য পেয়ে থাকি। যা আমাদের অপরাধ ও অপরাধী সনাক্তে সহায়তা করে।
সাংবাদিকরা বিভিন্ন ঘটনা তুলে আনেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে করে অপরাধ দমনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ভূমিকা রাখতে পারে। আমি কাজে বিশ্বাসী, কোন কারুকাজে নই।
অনেক কিছু ঘটনার সাক্ষী আমি। সাংবাদিকদের কাছ থেকে অনেক তথ্য আমরা পেয়ে থাকি, যা কিনা আমার অফিসের কোন সদস্য কিংবা কর্মকর্তা এ তথ্য দিতে পারেনা।
অপরাধবিষয়ক সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের পারস্পরিক ও পেশাগত দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। পুলিশের প্রতি ইউনিট এই গণমাধ্যমকে তথ্য সরবরাহ করার জন্য আলাদা গণমাধ্যম শাখা করা হয়েছে। আমরা পুলিশের সঙ্গে সাংবাদিকের প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। বর্তমান আইজিপির ড. বেনজীর আহমেদ সাংবাদিকবান্ধব।
তিনি বলেন, পুলিশ কমিউনিটি সমাজের একটি অংশ। আমাদের কোনো কোনো সদস্যদের ব্যক্তিগত বিচ্যুতি থাকতে পারে, এ ধরনের ঘটনায় আমরা কাউকে ছাড় দেই না। পুলিশের নিরপেক্ষ এবং গঠনমূলক সমালোচনা আশা করি, যা আমাদের দায়িত্ব পালনের সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এ সময় সেরা প্রতিবেদনের জন্য ৮ টি ক্যাটাগরিতে ৯ সাংবাদিকের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। ২০২০ সালের সেরা প্রতিবেদনের জন্য প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার জন্য ৪টি এবং টেলিভিশন ও রেডিও মিডিয়ার জন্য ৪টিসহ মোট ৮টি পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিটি পুরস্কারের মূল্যমান ৩০ হাজার টাকা।
ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মিজান মালিক। পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।