
শনিবার (২৬ জুন) সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে আগামী বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। রোববার (২৭ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তবে সোমবার থেকে সীমিত আকারে লকডাউন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।
১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত মোট (৭ দিন) পূর্ণাঙ্গ লকডাউনে থাকবে গোটা দেশ। সুরথ কুমার সরকার বলেন, ‘আজ রাতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সভাপতিত্ব করেন।’
প্রধান তথ্য কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘২৮ জুন (সোমবার) থেকে সীমিত লকডাউন থাকবে। অনেক আর্থিকপ্রতিষ্ঠানের জুন ক্লোজিং আছে। এজন্য ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে সারা দেশে টোটাল (সর্বাত্মক) লকডাউন শুরু হবে। এ নিয়ে আগামীকাল প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এ প্রজ্ঞাপনে বিস্তারিত থাকবে।’
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে এই লকডাউন নিয়ে তথ্যবিবরণী প্রকাশ করেছিল তথ্য অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়েছিল, এ সময়ে জরুরি পণ্যবাহী ব্যতীত সব যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন শুধু চলাচল করতে পারবে। জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবে না।
‘গণমাধ্যম এই লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে’, যোগ করা হয়েছিল তথ্য বিবরণীতে।
অপরদিকে গতকাল প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, এই লকডাউন কঠোরভাবে যাতে সবাই এটা প্রতিপালন করে এজন্য সেখানে বেশ কড়াকাড়ি থাকবে। মাঠে পুলিশ থাকবে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি থাকবে। সেনাবাহিনীও থাকতে পারে।