
চট্টগ্রামের সব সহকর্মী ও পরিবারকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন সার্জেন্ট মোজাহিদুল ইসলাম। এভাবে মৃত্যু কারো কাম্য নয়। পুলিশের কর্মজীবন ঝুকির, সবসময় সতর্ক থাকতে হয় সব বিষয়ে। চোখের অগোচরে অনেক ঘটনাই আকস্মিক ঘটে যায়। তবু মেনে নিতে হয়, পরিবার ও সহকর্মীরাও শোকাহত, কারো কিছুই করার নেই, কয়েকদিন পরে তারাও হয়তো মেনে নেবেন। বেচে থাকবে শুধু মোজাহিদের স্মৃতি । সোমবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে দশটায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নগরের টোল রোডের ওয়াই জনশং এলাকায় ট্রাফিক সার্জেন্ট মোজাহিদুল ইসলাম নিহত হয়েছিলেন।
মোজাহিদুল ইসলাম বি-বাড়ীয়া জেলার সদর থানার বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রাফিকের বন্দর বিভাগের কর্মরত ছিলেন।
ওয়াই জনশং এলাকায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোজাহিদুল ইসলাম ও অন্য একজন ব্যক্তি আহত হয়। সেখান থেকে দুইজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাইভেটকারটিও জব্দ করা হয়েছে।
মোজাহিদুল ইসলামকে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ারে আনা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২৮ নম্বর নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি দেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে আজ ১৪ মার্চ সার্জেট মোজাহিদ চৌধুরীর জানাজা শেষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষে তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। এ সময় তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সাল মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) এম এ মাসুদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) আ স ম মাহতাব উদ্দিন, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মোঃ আব্দুল ওয়ারীশসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।