
প্রথমে ধর্ষণ করার চেষ্টা, তারপর ব্যর্থ হয়ে ছিনতাই করে, নগরীর হালিশহর পানির কল এলাকা থেকে ডাবলমুরিং মডেল থানার অভিযানে গ্রেফতার করা হয় আসামি।
সায়মা (ছদ্মনাম) পেশায় একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। গত ৩ বছর যাবত তিনি ডাবলমুরিং থানাধীন একটি ডায়গনস্টিক সেন্টারে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করছেন।
প্রতিদিনের মত তিনি গত ১৭ মে, সকাল ৭ টায় ডায়গনস্টিক সেন্টারে এসে পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেন।
এ সময় রুবেল নামে এক ব্যাক্তি ডায়গনস্টিক সেন্টারে এসে সায়মার কাছে দাতের ডাক্তার আছে কিনা জিজ্ঞেস করে।
সকালে ডায়গনস্টিক সেন্টারে কেউ না থাকার সুযোগে ভিকটিম সায়মাকে মুখ চেপে ধরে মৃত্যু ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক তাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করে। কিন্তু ধস্তাধস্তিতে সে ব্যর্থ হয়।
ধর্ষণ করতে ব্যার্থ হয়ে তার কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে অফিসের ডেস্কে থাকা টাকা পয়সাও নিয়ে পালিয়ে যায় ।
এ ঘটনায় সায়মা বাদী হয়ে ডাবলমুরিং থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডাবলমুরিং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোহাম্মদ মুহসিন, পিপিএম এর নির্দেশে এস আই মোঃ তারেক আজিজের নেতৃত্বে এস আই মহিম উদ্দিন সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ আসামী গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করে।
ডাবলমুরিং থানা টিম মামলার ঘটনাস্থল থেকে উক্ত ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে আসামীর চেহারা সনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করতে মাঠে নামে।
কিন্তু আসামী ভাসমান হওয়ায় তাকে কেউ চিনতে পারছিল না। এসময় স্থানীয় এক দোকানদার তাকে হালিশহর থানার পানির কল মোড়ে দেখা গেছে বলে জানান।
সেখানে গিয়েই তার দেখা মেলে। কিন্তু পুলিশ দেখেই সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। সেখান থেকে ধাওয়া করে পাহাড়তলী থানার নাজির বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার ধাওয়া করে গত ১৮ মে রুবেল কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে পূর্বেও নগরীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।