
রাস্তার দুই পাশে গাছ কাটায় নড়াইল-যশোর মহাসড়কে যানজট দেখা দেয়। এতে আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজাও আটকা পড়েন। এক পর্যায়ে গাড়ি থেকে তিনি নেমে রাস্তায় পড়ে থাকা গাছের গুঁড়ি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নড়াইল-যশোর মহাসড়কের চৌগাছা আলম ফিলিং স্টেশনের সামনের রাস্তায় এমন চিত্র দেখা গেছে। এর কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘শান্তি সমাবেশে’ যোগ দিতে ভোরে নড়াইলে পৌঁছান মাশরাফি বিন মর্তুজা। দুপুরে সদ্য প্রয়াত লোহাগড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী বনি আমিনের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পথে দেখতে পান নড়াইল-যশোর মহাসড়কের দুপাশের গাছ কাটা হচ্ছে।
এ সময় বড় একটি গাছের গুঁড়ি রাস্তার ওপর পড়ে আছে। এতেই বাঁধে সড়কের দীর্ঘ যানজট। যে জটে পৌনে এক ঘণ্টা আটকা পড়েন মাশরাফির গাড়িও। গাড়ি থেকে নেমে মাশরাফি গাছ কাটারস্থলে যান।
তিনি বললেন, ‘ভাই আপনারা দিনে গাছ কাটছেন। এতে যানজট হচ্ছে। সবার কষ্ট হচ্ছে।’ তার কথা শেষ হতে না হতেই বিপরীত দিক থেকে আসে অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ। মাশরাফি বলেন, ‘ভাই সবাই অ্যাম্বুলেন্সটাকে সাইড দেন, আগে যেতে দেন।’
সঙ্গে সঙ্গে তার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী বায়েজিদ, ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) জামিল আহমেদ, শাকিল, ম্যানেজার বাবু ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নিল সিকদার নীলসহ তার বহরে থাকা সবাই গাছ সরাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মাশরাফি নিজেও গাছের গুঁড়ি ধরে ধাক্কা দেন। এরপর যানজট নিরসনে গাড়িগুলোকে হাতের ইশারায় পার করেন।
এমন উদ্যোগের কারণে রাস্তার পাশে থাকা লোকগুলো হাসিমুখে হাত নেড়ে মাশরাফিকে ধন্যবাদ জানান। তিনিও হাত নেড়ে হাসি মুখে প্রতি উত্তর জানান।
মাসুম ভূইয়া নামের বুড়িখালী গ্রামের এক যুবক বলেন, মাশরাফি বর্তমান সময়ের মানুষদের মধ্যে অসাধারণ ব্যক্তি। তার মধ্যে কোনো অহঙ্কার নাই। সে নিজে গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার গাছ সরিয়ে জনগণের কষ্ট লাঘব করলেন।
খসরু মিনা নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আজকে রাস্তার গাছ সরিয়ে যানজট মুক্ত করে মাশরাফি বড়মনের পরিচয় দিলেন।’
আলম ফিলিং স্টেশনের মালিক রেজাউল আলম বলেন, ‘মাশরাফি সব সময় ব্যতিক্রমী ভালো কাজ করেন। এজন্যই মাশরাফি আমাদের নড়াইলের গর্ব। সে সবাইকে শেখান কীভাবে মানুষের উপকার করা যায়