
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কোভিড-১৯ জনিত পরিস্থিতিতে লকডাউন চলাকালীন সময়ে চট্টগ্রাম নগরীর প্রতিবন্ধীদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ২৫০ প্যাকেট উপহার সামগ্রী (ত্রাণ) বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (১ মে) সকাল ১১টায় নগরীর পাহাড়তলী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ২৫০ জন প্রতিবন্ধীর মাঝে এসব উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। প্রতি প্যাকেট উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল-৮ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি ছোলা, ২ কেজি আলু, ১ কেজি চিনি ও ১টিঁ সাবান। উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মোঃ বদিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক
(সার্বিক) এস.এম জাকারিয়া, স্টাফ অফিসার টু ডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক, এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ রানা, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী, পাহাড়তলী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল করিম ও তৃণমূল নাট্যদলের মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল হক চৌধুরী প্রমূখ। চট্টগ্রাম মহানগর তৃণমূল নাট্যদল ত্রাণ বিতরণ কাজে সহযোগিতা করেন। উপহার সামগ্রী বিতরণকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন চলাকালীন সময়ে অস্বচ্ছল কোন মানুষ যাতে অভূক্ত না থাকে তা দেখার জন্য জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা আমাদের সকলের প্রিয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সমাজের কর্মহীন মানুষের পাশাপাশি প্রতিবন্ধি, দিনমজুর, নরসুন্দর, মুচি, চর্মকার, নির্মাণ শ্রমিক, ভ্যান চালক, পথে-প্রান্তওে অবস্থান করা অসহায় ও অবহেলিত তৃতীয় লিঙ্গের হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ত্রাণের আওতায় আনা হয়েছে। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে যারা প্রকাশ্যে সাহায্য নিতে সংকোচবোধ করছে বা সাহায্য চেয়ে সরকারী ৩৩৩ নম্বরে ফোন ও আমাদের কাছে এসএমএস করছেন প্রত্যেক রাতে তাদের বাসা-বাড়িতে গিয়ে গিয়ে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। আমরা চাই এই পরিস্থিতিতে কেউ অনাহারে ও কষ্টে থাকবেনা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে মজুদ থাকা ২০ হাজার প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে নগরীতে অস্বচ্ছল ও কর্মহীন মানুষের মাঝে এ পর্যন্ত প্রায় ১৬ হাজার প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। মহানগরীর বাইরে উপজেলা পর্যায়েও অসহায় মানুষের মাঝে প্রায় ৮ হাজার প্যাকেট ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা সবাই কাজে ফিরে যাবো। লকডাউনে একেবারে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি সমাজের ধনার্ঢ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।