
চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানাধীন লালখান বাজার নিবাসী, ৭৫ পরবর্তী লালখান বাজার ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সংগঠক, ,আওয়ামী লীগ নেতা ও বাংলাদেশ কাস্টমসের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দেলোয়ার হোসেন হাজারীর স্মরণ সভা ও কুলখানি শুক্রবার নগরীর লেডিস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার ও দেলোয়ার হোসেন হাজারী স্মৃতি সংসদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে এবং সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দিন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ.জ.ম নাছির উদ্দিন বলেন, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দেলোয়ার হোসেন হাজারী মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ,অংশগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারী। তাঁর মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দেলোয়ার হোসেন হাজারীর নীতি অনুসরণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো-এটাই হোক আমাদের শপথ।
সভায় মূল স্মৃতিচারণ করেন মরহুমের ছোট ভাই আমজাদ হোসেন হাজারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, ১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মোঃ বেলাল, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুল আবছার, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম (যুদ্ধাহত), বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবু ছৈয়দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিমুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর উদ্দিন, ফেনীর ফাজিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক রিপন ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ রানা। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য শেখ মহিউদ্দিন বাবু, ছাত্রলীগ নেতা নাজমূল নীরব প্রমূখ। সভায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্চাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। স্মরণ সভার পূর্বে খতমে কোরান, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। শেষে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায়
মেজবানের আয়োজন করা হয়।